কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ । রবিবার দুপুরে র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার রাহিল রানা তানভীরক (৩৫) টাঙ্গাইল সদর থানার বরুহা এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। র্যাব-১ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে নাটোর সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে মোর্শেদা বেগমের(২২)সঙ্গে রাহিল রানা উরফে তানভীরের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত কয়েকমাস ধরে স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকতো। এর মধ্যে স্ত্রী মোর্শেদা বেগম স্বামীকে তালাক দিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় মা ফুলবানুর ভাড়া বাসায় থাকতো। স্বামীকে তালাক দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার রাতে স্বামী রাহিল রানা তানভীর ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে জানালা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। বাহির থেকে ঘরের দরজা লাগানো থাকায় তারা বের হতে না পেরে চিৎকার শুরু করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মোর্শেদা বেগমের এবং একই দিন রাতে শাশুড়ী ফুলবানুর মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত ফুলবানুর মা আম্বিয়া বেগম (৬০) বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদে খবর পেয়ে তাকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তানভীর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করে। পরে তাকে রবিবার কালিয়াকৈর থানায় সোপর্দ করা হয়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।