এম এইচ রাজীব নকলা(শেরপুর) প্রতিনিধিঃ আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ দেখতে পাওয়া যায় যারা মানুষের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করতে ভীষণ আনন্দ পান।
আজ এমনই একজন মানুষ সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই, যিনি সাধারণ মানুষ হয়েও অনেকটাই আলাদা….
তিনি আর কেউ নয়, আমাদের নালিতাবাড়ীর কৃতি সন্তান জনাব দুলাল চৌধুরী। ১৯৬৫ সালের ১৯ জানুয়ারী, নালিতাবাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হয় দুলাল চৌধুরী নামের একজন গুণী মানুষের ।
জনাব দুলাল চৌধুরী ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে বিএসসি এবং এমএমসি পাশ করেন। তারপর তিনি সুদূর জাপানে পাড়ি জমান, এবং সেখানে দীর্ঘদিন একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে জড়িত থেকেও তিনি ঢাকার উত্তরায় RMC হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মানুষের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেন। তিনি দেশের বেকার সমস্যা লাঘব করার জন্য ঢাকার উত্তরায় MDB আইটি সেন্টারের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিকে রুপান্তর করছেন। নিজে এতো আরাম আয়েশে থাকার পরও এক মূহুর্তের জন্যও নিজের মাতৃভূমি এবং মাতৃভূমির মানুষকে ভুলে থাকেননি।
জনাব দুলাল চৌধুরী নিজেকে প্রস্ফুটিত করার চেয়ে কারো জন্য নিরবে কিছু করতে খুব আনন্দিত বোধ করেন।
পরিবার, পরিজন তথা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিঃস্বার্থভাবে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তিনি নিরবে সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন।
তিনি গরীব, অসহায় মানুষদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অনুদান প্রদান করেন।
সারা দেশের মতো যখন শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা হামলায় একদিকে দিশেহারা, অপরদিকে অভিভাবক শূন্যতায় ভুগছিল তখন জনাব দুলাল চৌধুরী বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসেন। দিশেহারা নেতাকর্মীদের মনোবল শক্ত রাখতে তাদের পাশে দাঁড়ান। শেরপুর-২ (নকলা- নালিতাবাড়ী) আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা হামলা মোকাবিলায় দুলাল চৌধুরী সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
অনেক মানুষের জন্য নিরবে নিভৃতে এমন অনেক সহযোগিতা করেছেন যা নিঃসন্দেহে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের পরিচয়। জীবনের শুরুর দিক থেকে আজ অবধি তিনি সবার জন্য করেই যাচ্ছেন। সত্যি এমন ব্যক্তিত্ব আমাদের চলার পথে অনুপ্রেরণা জোগায়।
আমরা সকলে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমি জনাব দুলাল চৌধুরীর একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।