সুমন মাহমুদ শেখ মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি - গ্রাহক হয়রানির আরেক নাম নেত্রকোনা পি.বি.এস'র আওতাধীন মোহনগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস। ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, বিল ও রিডিং এ অসামঞ্জস্যতা, রিডিং না নিয়েই বিল তৈরি করা, জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধের শেষ দিন বিল পেপার বিতরণসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে মোহনগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ সীমিত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, আবাসিক মিটারের জন্যে আবেদন করে মাসের পর মাস ঘুরেও মিলছে না মিটার। অথচ এ অফিস থেকেই পল্লিবিদ্যুতের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত টাকা দিলে সহজেই মিটার সংযোগ পাওয়া যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে মিটার পেলেও সংযোগ ক্যাবল গ্রাহকের কিনে দিতে হয়। অথচ নিয়মানুযায়ী এ সংযোগ ক্যাবল অফিস থেকেই দেওয়ার কথা। এতকিছুর পর মিটার সংযোগ দেয়ার সময় তাদের অফিসিয়াল কর্মরত কোন লাইনম্যান বা নির্দিষ্ট লোক না গিয়ে নন অফিসিয়াল গৃহপালিত লোকের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে পাঠানো হয়। এসব লোক শুধু মিটার স্থাপনের জন্যে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা বখশিশের দাবি করে। বখশিশের টাকা না দিলে মিটার রিমুভ করে নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে অফিসে জমা দিয়ে দেয়। এতে করে গ্রাহকের হয়রানি আরও বেড়ে যায়।পল্লিবিদ্যুতের এমন হয়রানিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে শতভাগ বিদ্যুতায়ন দেখিয়ে, কখনও মিটার নেই, কখনও সংযোগ ক্যাবল নেই, এরকম ভুয়া অনেক কিছু নেই নেই বলে নতুন আবাসিক মিটার প্রার্থী গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। নতুন বাসাবাড়ি করে ছয় মাস ঘুরেও মিটার সংযোগ পাচ্ছে না গ্রাহকগণ অথচ নিয়মবহির্ভূত ও অবৈধভাবে বাড়ি সংলগ্ন ফসলের মাঠে ফলজ গাছেও মিটার সংযুক্ত হচ্ছে। আবার অনুসন্ধানে এমন মিটার সংযোগের সন্ধান পাওয়া যায় যা নির্দিষ্ট দূরত্বের অনেক বাহিরে। এসব অনিয়ম ও অবৈধ সংযোগ কিসের ভিত্তিতে হচ্ছে জানার জন্যে এ প্রতিবেদক মোহনগঞ্জ জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.জি.এম. কম মো. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন- অফিসে সংযোগ ক্যাবল না থাকলে গ্রাহক স্বেচ্ছায় কিনে নিলে আমরা এই টাকা পরবর্তীতে বিলের সাথে সমন্বয় করে দেই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে। গাছে মিটারের ব্যাপারে তিনি বললেন এটা ভুলবশত হয়েছে।