মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ :- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখার ত্যাগী নেতা কর্মীরা সদ্য ঘোষিত দুর্গাপুর ও পুর্বধলা উপজেলার কমিটি গঠনকে নিয়ম ও এখতিয়ার বহির্ভূত বলে কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুক্রবার বাদ আসর নেত্রকোনা বড়মসজিদে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা এবং নেত্রকোনা জেলার মজলিসে শুরার সাবেক আমির মুফতি তাহের কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কারানির্যাতিত হেফাজতের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার যুগ্মআহবায়ক মাওলানা মফিজুর রহমান, জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা ইউনুস, আব্দুল হাদী ফরাজী, হাফেজ আবুল কাশেম, মাওলানা হারুনুর রশীদ ফারুকী, মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ খান, মাওলানা মুয়াজ্জল হোসাইন, মাওলানা ইবরাহীম খলিল, হাফেজ কারী মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা তরিকুল ইসলাম, হাফেজ আব্দুস সালাম, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা আমীনুল হক,আবুল আসাদ, মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি মহল বিগত সরকারের আমলে হেফাজতের কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলোনা কিন্তু জুলাই বিপ্লবোত্তর তারাই হেফাজতের কর্ণধার হয়ে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি গঠনে তৎপর হয়ে উঠেছেন কেন? কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কোন রকম পরামর্শ ছাড়া তাদেরকে এই অথরিটি কে দিয়েছে? একই প্রতিষ্ঠানের দুই জন শিক্ষক জেলা কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব কীভাবে হন? জেলায় কি আর কোন যোগ্য আলেম নেই? বিভিন্ন উপজেলায় মনগড়া নিয়মবহির্ভূত যত কমিটি হয়েছে সকল কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে কটিমি গঠন করা হোক। আমরা এসব সিন্ডিকেট কমিটি প্রত্যাখান করছি। একই সাথে তাদের সিন্ডিকেট পকেট কমিটি,একদলীয়,অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।